এক খ্রিষ্টান পাদ্রির মুসলমান হওয়ার ঘটনা
হযরত ইব্রাহিম খাওয়াছ (রহ:) বলেন, আমি একদিন জঙ্গল দিয়া যাইতেছিলাম। পথিমধ্যে এক খৃষ্টান পাদ্রীর সহিত আমার সাক্ষাত হয় যাহার কোমরে ছলীব অর্থাৎ হযরত ঈশা (আ:) এর ক্রুশে বিদ্ধ হওয়ার চিন্হ ছিল। সে আমার সহিত থাকিবার ইচ্ছা প্রকাশ করিল ( আগের জামানায় মুসলমান সাধকদের সাথে কাফের সাধক ও থাকিত) আমি তাহাকে সঙ্গে করিয়া সাত দিন পযন্র্ত খানাপিনা ব্যতীতই চলিতে লাগিলাম। সাত দিন পর সে বলিল হে মুহাম্মদী! আর কত উপবাস থাকিব নিজের কিছু বুর্জুগী দেখাও। আমি আল্লাহ পাকের দরবারে দোয়া করিলাম। হে আল্লাহ! এই কাফেরের সামনে তুমি আমাকে বেইজ্জত করিও না। তৎক্ষণাৎ একটা ঝুড়ি সামনে হাজির হইল যাহার মধ্যে ভুনা গোস্ত তাজা খেজুর এবং পানি ছিল। আমরা দুইজন ঐ গুলো খাওয়ার পর সামনে অগ্রসর হইলাম। এবারও সাত দিন চলিয়া গেল। পাদ্রী আবার কিছু বলে ফেলবে এই ভাবিয়া আমি তাহাকে প্রথমে বলিলাম এবার তুমি কিছু বুজুর্গী দেখাও কেননা এইবার তোমার পালা। সে নিজের লাঠির উপর ভর করিয়া দাড়াইয়া দোয়া করিল তৎক্ষণাৎ পূর্বের তুলনায় দ্বিগুল খাঞ্জা ও দ্বিগুন খানাসহ অবতরণ করিল, লজ্জায় আমার চেহারার রং পরিবর্তন হয়ে গেল এবং আমি অবাক হইয়া গেলাম ও তাহার খানা খাইতে অস্বীকার করিলাম। সে আমাকে খাওয়ার জন্য পিড়াপিড়ী করিতে লাগিল। আমিও অস্বীকার করিয়াই চলিলাম। সে বলিল আপনি খানা গ্রহণ করুন আমি আপনাকে দুইটি সুসংবাদ দান করিব। প্রথমত: আমি কালিমা পড়িতেছি- আশহাদু আল্লা-ইলা-হা ইল্লাল্লাহু মোহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ পড়িল। আমি মুসলমান হইয়া গেলাম, এই বলিয়াই তাহার কোমরের ফিতা ছিড়িয়া ফেলিল। দ্বিতীয় সুসংবাদ এই যে, আমি আল্লাহর দরবারে এই বলিয়া দোয়া করিয়াছি যে, হে আল্লাহ! এই মোহাম্মদীর তোমার দরবারে যদি কোন মর্যাদা থাকে তবে তাহার উছিলায় আমাদিগকে খানা খাওয়াও। অতপর আমরা দুই জনেই খাইলাম এবং সামনে অগ্রসর হইলাম। অবশেষে আমরা দুই জনেই মক্কা শরীফ গিয়ে হজ্ব আদায় করি। আর নও মুসলমান সেখানেই থাকিয়া যায় এবং সেখানেই তিনি ইন্তেকাল করেন।